সুইডেন কাজের ভিসা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক দেশে বাংলাদেশী মানুষ কাজ করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। তেমনিভাবে অনেকেই সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই যেতে আগ্রহী। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সুইডেনে অসংখ্য মানুষ কাজ করার জন্য যাচ্ছেন। আপনি যদি সুইডেনে কাজ করতে যেতে চান। সুইডেন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
সুইডেন ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত। আর আমরা সকলেই জানি ইউরোপে বেশিরভাগ মানুষ কাজ করার জন্য যেতে আগ্রহী। আমরাও তার ব্যতিক্রম নয়। সুইডেনের রাজধানীর নাম স্টকহোম। দেশটির উত্তর-পূর্ব দিকে আছে ফিনল্যান্ড। পশ্চিমে রয়েছে নরওয়ে এবং দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে ওরেসুন্দ সেতু যেটা দিয়ে ডেনমার্ক এ যাওয়া যায়। সুইডেন কাজের ভিসা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সম্পর্কে
সুইডেন যেতে কত টাকা লাগে
সুইডেন ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো বেশি টাকা খরচ হতে পারে। বিভিন্ন রকম ভাবে সুইডেন যাওয়া সম্ভব। যে কারণে বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন রকম টাকার প্রয়োজন হয়। যাবার পূর্বে অবশ্যই আপনারা এজেন্সির সঙ্গে সঠিকভাবে আলাপ-আলোচনা করে যাবেন।
সুইডেন যেতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন
সুইডেন শুধু নয় যে কোন দেশে যেতে হলেই বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। যে সকল ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় তা অবশ্যই সঠিক হতে হয়। তো চলুন জেনে নেই কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়।
- ভিসার আবেদন পত্র। অর্থাৎ যেটা আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করেছিলেন সেটা।
- পাসপোর্ট, অবশ্যই পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হতে হবে।
- দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা।
- কাজের অফার লেটার।
- মেডিকেল সনদ ইত্যাদি।
সুইডেন যাওয়ার উপায়
সুইডেনে আপনারা বিভিন্ন পদ্ধতিতে যেতে পারবেন। যেমন,
- স্টুডেন্ট ভিসা।
- বিজনেস ভিসা।
- টুরিস্ট ভিসা।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদি।
যে কোন ভিসার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই সুইডেন যেতে পারবেন। তবে এক একটি ভিসার জন্য একেকরকম যোগ্যতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনারা যে ভিসার উপর যেতে চাচ্ছেন সে ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনলাইন থেকে অথবা যে কোন এজেন্সি থেকে জেনে নেবেন। তাহলে আপনাদের অনেক সুবিধা হবে।
সুইডেনের সর্বনিম্ন বেতন কত
সুইডেন ইউরোপ এর একটি দেশ যে কারণে এই দেশটিতে কাজের বেতন অন্যান্য দেশে তুলনায় বেশি। অর্থাৎ আপনি যদি এই দেশটিতে কাজ করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। তবে অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে কাজের উপর নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে আপনারা পরবর্তীতে আড়াই থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।
সুইডেনে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে
আপনারা যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে যেতে চান বা যেতে আগ্রহী। তারা যাবার পূর্বে জানতে চান সেই দেশটিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। যে কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেই কাজের উপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারলে আপনার চাহিদা বেশি থাকবে। অনভিজ্ঞদের তুলনায় আপনার বেতনও বেশি থাকবে। তাদের থেকে বেশি সম্মান পাবেন। সুতরাং এই বিষয়টি আমাদের সকলেরই জানা উচিত। চলুন দেখে নিই।
- ক্লিনার
- হাউসকিপিং
- প্লাম্বার
- ওয়েল্ডিং
- ডেলিভারি ম্যান
- মেকানিক্যাল
- ইলেকট্রিশিয়ান ইত্যাদি।
সুইডেনের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা
সুইডেনের মুদ্রার নাম সুইডিশ ক্রোনা। সুইডেনের এক মুদ্রা সমান বাংলাদেশের প্রায় ১০ টাকা।
তাহলে সুইডেনের ১০০ মুদ্রা সমান বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার সাত মুদ্রা। এ থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে সুইডেনের মুদ্রার মান বাংলাদেশের মুদ্রার মানের চেয়ে কতটা বেশি।শেষ কথা
আমরা আশা করছি যে, আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা সুইডেন সম্পর্কে বা সুইডেন কাজের ভিসা সম্পর্কে সামান্য পরিমাণ হলেও জানতে পেরেছেন। সুইডেন সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। অথবা যে কোন দেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকলে সেই দেশটির নাম লিখে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা খুব শীঘ্রই আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেব। ধন্যবাদ।
Category:
কাজের ভিসা